‘চেম্বার বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যাওয়াই কি চিকিৎসা শাস্ত্রের নৈতিকতা?’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বলেছেন, ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন এখন ফেসবুকে প্রেম করার মত। রোগী ও ডাক্তারের দেখাদেখি হয়না। অথচ ভারত, থাইল্যান্ড, ইংল্যান্ডে দেখেছি যে, ডাক্তারগণ প্রতিটি রোগীর সাথে প্রয়োজনমত সময় নিয়ে রোগীর পূর্ব ইতিহাস জেনে চিকিৎসা করে। রোগীর গায়ে হাত দিয়ে কোথায় কি ব্যাথা তা অনুভব করার চেষ্টা করে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গের পরীক্ষা রিপোর্ট ভালোভাবে পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন দেয়। কিন্তু করোনা আবির্ভাবের পরে ডাক্তাররা চেম্বার বন্ধ করে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়াই কি চিকিৎসা শাস্ত্রের নৈতিকতা?

তিনি আরও বলেন, করোনা রোগী ছাড়াও অন্যান্য রোগীদের এখন টেলিফোনে চিকিৎসা পত্র দেয়া হচ্ছে। একজন সৈনিক যদি মৃত্যুর ঝুকি না নিতে পারে তবে সেনাবাহিনীতে কেন ভর্তি হবে? একজন ডাক্তার যদি বিপদে রোগীর পাশে দাড়াতে না পারে তবে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি খেয়ে, রাষ্ট্রের দান দক্ষিনা নিয়ে ডাক্তারী পড়াবে কেন? মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে যারা করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির লাশ দাফন করছে, যে সকল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আবর্জনা পরিষ্কার করছে, যে সকল সংবাদকর্মীরা মাঠে চষে বেড়াচ্ছে, প্রশাসনের লোকজন সহ সে সকল স্বেচ্ছাসেবীরা ত্রাণ মানুষের বাড়ীতে পৌছে দিচ্ছে, যে সকল মানুষ কৃষকদের বিনা পারিশ্রমিকে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে এবং কিছু জনপ্রতিনিধি মাঠে ময়দানে নিরলশভাবে কাজ করে তাদের থেকে ডাক্তারদের নৈতিকতা বোধ শিক্ষা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রাইভেট ও সরকারী হাসপাতালগুলি যাতে সরকারী কসাইখানায় পরিনিত না হয় এ জন্য জেলা ভিত্তিক একটি মনিটরিং সেল গঠন ও সেলের টেলিফোন নাম্বার জনসাধারণের নিকট প্রকাশ করা এখন একান্ত প্রয়োজন। হাসপাতালে ভর্তি না করায় স্ত্রীর কোলে মাথা রেখেই মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে এমন মর্মান্তিক সংবাদও এখন পত্রিকায় প্রকাশ পাচ্ছে। হাসপাতালের ভর্তি করাতে না পেরে পুত্র তার করোনা আক্রান্ত মাকে ফেলে পালিয়ে গেছে। এগুলি কি সরকারের স্বাস্থ্য সুব্যবহার দৃষ্টান্ত? সরকার স্বাস্থ্য সচিব পরিবর্তন করেছেন বটে, এখন দেশবাসী দেখার প্রত্যাশায়, ভেঙ্গেপড়া স্বাস্থ্য ব্যবহার কতটুকু উন্নতি হবে? ইতোমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা চলছে। আমি তাদের আশু রোগমুক্তি কামনা করি। পাশাপাশি ডা: জাফর উল্ল্যাহ চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্ধা পরীক্ষিত সমাজ হৈতিষী ব্যক্তিত্ব। যদিও তিনি বিরোধী ঘরনার সমর্থক তবুও ডা: জাফর উল্ল্যাহ চিকিৎসা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় করার জন্য সরকার প্রধানকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আল্লাহ দলমত নির্বিশেষে সকলকেই সুস্থতা দান করুন। এ মুহুর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করতে চাই না, তবে তারা যে ব্যর্থ এ কথা তারা উপলব্দি করতে পারছেন বলে তাদের কথায় মনে হচ্ছে না।