গলা চেপে ধরেছিল ওসি কামাল: কথা বলতে পারছেন না তৈমূর

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে টেনে হেছড়ে গলা চেপে ধরে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের চরম ধস্তাধস্তির সময় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দীন সজোরে তৈমূর আলমের গলা চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে তৈমূর আলমের জিহ্বা বের হয়ে গেলে নেতাকর্মীরা ছেড়ে দেন এবং পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান।

২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের পূর্বে ভোট প্রার্থনার সময় আদালতপাড়ার সামনে থেকে তাকে এবাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে তৈমূর আলমের গলার দুটি হাড়ের চিকিৎসা নিতে হয়। তবে তৈমূর আলমকে গ্রেপ্তারের কয়েক মাসের মাথায় ওসি কামালউদ্দীন পদোন্নতি পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হয়েছেন।

এদিকে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। একই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

২৪ মে রবিবার অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমি কিছু দিন যাবত অসুস্থ। আলহামদুলিল্লাহ আজ ডাক্তারের পরামর্শে সকল ধরণের টেস্টের মাধ্যমে কোন রোগ সনাক্ত হয়নি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ কোর্টের সামনে রাজনৈতিক মামলায় পুলিশের জোরকৃত এরেস্টের সময় পুলিশের হাতের চাপায় গলার দুইটা হাড়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

তিনি জানান, কোভিড-১৯ করোনাকালীন সময় চলাফেরা না করার কারনে গলার দুইটা হাড়ে পূণরায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শে আপাতত কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই সকলের নিকট আবেদন কিছুদিনের জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হল।

তার সঙ্গে একান্ত কোন জরুরী প্রয়োজনে খন্দকার তুহিন পারভেজ আলালের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হল (মোবাইল ঃ ০১৭১৭-০৪৮৩৩৯)।

তিনি বিশেষভাবে বলেন, আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। সকলের জন্য দোয়া রইল বাসায় থাকুন, সুস্থ থাকুন ‘ঈদ মোবারক’।