প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য: সেক্রেটারির বিরুদ্ধে সভাপতির অবস্থান!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নানা বিতর্কের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের কমিটি। গঠনতন্ত্রে উপজেলা/থানা কমিটি গঠন করার এখতিয়ার জেলা কমিটির। কিন্তু জেলা কমিটিতে পাস কাটিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে উপজেলা যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমান আদালতে মামলাও দায়ের করেছিলেন। সেই কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সেক্রেটানি আলী হায়দারের প্রকাশ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। সেক্রেটারির বেফাঁস মন্তব্যের দায়ভার নিতে নারাজ সভাপতি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী হায়দার। বেফাঁস মন্তব্যের কারনে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরাই এখন তার বহিস্কার দাবি তুলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে যুবলীগের রাজনীতিতে উত্তাপন ছড়িয়েছে। এতে তা দিচ্ছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও। আলী হায়দারের বেফাঁস মন্তব্যের দায়ভার নিতেও নারাজ যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু। উল্টো তিনি তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

গত ১২ এপ্রিল রবিবার ভোরে বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদের লাশ সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা হোসেনপুর মাজেদের শ^শুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে লাশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার দাবি তুলেন। ওইদিন সকালে লাশ দাফন করা এলাকায় প্রতিবাদে সেখানে যান যুবলীগ সভাপতি ও সেক্রেটারি সহ নেতাকর্মীরা। সেখানে মিডিয়াতে বক্তব্য দিতে গিয়ে আলী হায়দার এক পর্যায়ে বলেছেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত হলেও আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। বঙ্গবন্ধুর খুনির লাশ সোনারগাঁয়ে দাফন এটা আমরা মেনে নিবে না। আমরা প্রয়োজনে লাশ পানিতে ভাসিয়ে দিব। যদি এটা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে তাহলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাই।’
যুবলীগ সেক্রেটারি আলী হায়দারের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন খোদ যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু।

স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেছেন, গত রবিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদাকে সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর এলাকায় দাফনের প্রতিবাদে ও তার লাশ অপসারণের দাবিতে আলী হায়দার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন এটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। যা সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সংগঠনের বক্তব্য নয়।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে আলী হায়দার মিডিয়ার সামনে দলীয় প্রধানকে নিয়ে যে অশোভনীয় বক্তব্য দিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে আমি সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি দাবি করেছেন- প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তর বিরুদ্ধে গিয়ে মিডিয়ার সামনে এই ধরণের বক্তব্য দিয়ে সংগঠনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে নিয়ে আলী হায়দারের বক্তব্যের বিষয়টি জানানো হবে এবং দলীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন জানানো হবে।

উল্লেখ্যযে, ১২ এপ্রিল গত রবিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আব্দুল মাজেদাকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নে দাফনের প্রতিবাদে বক্তব্যে আলী হায়দার বলেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত হলেও আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। বঙ্গবন্ধুর খুনির লাশ সোনারগাঁয়ে দাফন এটা আমরা মেনে নিবে না। আমরা প্রয়োজনে লাশ পানিতে ভাসিয়ে দিব। যদি এটা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে তাহলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাই।’