বাড়িভাড়া মওকুফ করতে বাড়িওয়ালাদের প্রতি শামীম ওসমানের অনুরোধ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ তখন দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের আয়ের উপার্জন বন্ধ। তখন নারায়ণগঞ্জের ভাড়াটিয়াদের জন্য বাড়িভাড়া একমাসের মওকুফের জন্য বাড়িওয়ালাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান।

২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অসহায় মানুষের জন্য এক কোটি টাকার অনুদানের ঘোষণা দেন শামীম ওসমান। ওই সময় ১ মাসের বাড়িভাড়া মওকুফ করতে নারায়ণগঞ্জের বাড়িওয়ালাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। আবার সম্ভব হলে বাড়িওয়ালাদের এক মাসের ট্যাক্স মওকুফের জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকেও অনুরোধ জানান তিনি। এর আগে তার নির্বাচনী এলাকার অসহায় মানুষের জন্য ৯৯লাখ ৯৯ হাজার টাকার অনুদান ঘোষণা করেছেন এমপি একেএম শামীম ওসমান।

শামীম ওসমান বলেন, আমরা সবাই একটা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি। আল্লাহর রহমতে পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। আমাদের প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপে এবং সকলের সহযোগিতায় করোনা ভাইরাস এখনো বাংলাদেশে মহামারি রূপ নিতে পারেনি। করোনা পৃথিবী থেকে কবে বিদায় হবে জানিনা। তবে পীর আউলিয়ার এই দেশ থেকে করোনাভাইরাস খুব দ্রুতই বিদায় নিবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজে দুই শ্রেণির অসহায় লোক রয়েছে। এক শ্রেণি হচ্ছে হতদরিদ্র যারা হাত পেতে সাহায্য চাইতে পারে। আরেকটা শ্রেণি আছে যাদের ঘরে খাবার না থাকলেও তারা মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেনা। এই দুই শ্রেণির সাহায্যে আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা অনুদান ঘোষণা করছি। ফতুল্লা এবং সিদ্ধিরগঞ্জের ৫টি ওয়ার্ডে তালিকা করে এই অনুদানের টাকা বিতরণ করা হবে। আমি ও আমার পরিবার ইতিমধ্যেই অসহায়দের সাহায্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এতোদিন কাজ হয়েছে গোঁপনে। তবে এ ধরণের কাজগুলো প্রচার হলে অন্যরাও উৎসাহিত হবে। কারন ১৬/১৭ কোটি মানুষকে সহায়তা করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না। তাই বিত্তবান সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।

করোনা প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জবাসীকে অযথা বাইরে বের না হওয়ার আহবান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বাইরে ঘুরলেই আপনি বীর পুরুষ হয়ে যাবেন না। তাই বাহাদুরি দেখাতে অপ্রয়োজনে বাইরে ঘুরাঘুরি বন্ধ করে ঘরে থাকুন। কারন আপনি অযথা বাইরে ঘুরে ভাইরাস ঘরে নিয়ে আসবেন আর সে ভাইরাসে সংক্রমিত হবে আপনার আপনজন। তাছাড়া পুলিশ সেনাবাহিনী সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা শুধু যদি আপনাদের ঘরে ফেরাতেই ব্যস্ত থাকে তবে তারা অন্য কাজ করবে কখন। তাই সকলে বাসায় অবস্থান করুন। আমরা এই নির্মম মৃত্যু কেউ কামনা করি না।