এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট দেখালেন সাহেদ, নীরব ৪ শীর্ষ নেতা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের (সুপার ফাইভ) শীর্ষ ৫ নেতার এসএসসি পরীক্ষায় পাশের সার্টিফিকেট প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও বন্দর থানা ছাত্রদল নেতা রাসেল আহমেদ। এরপর একই দাবি তুলেছিলেন মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান অনিও। মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে নিজের এসএসসি পাশের সনদপত্র নেতাকর্মীদের কাছে প্রকাশ করেছেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদ।

তবে এ বিষয়ে আন্ডার মেট্রিক কিনা এমন প্রশ্ন যখন আরো ৪ নেতা মমিনুর রহমান বাবু, রাফিউদ্দীন রিয়াদ, আল আমিন প্রধান ও শেখ মাগফুর ইসলাম পাপন রয়েছেন নীরব। যদিও গত সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী হলফনামায় আল আমিন প্রধান নিজেকে স্বশিক্ষিত হিসেবে দাবি করেছেন। অর্থাৎ তিনি স্বাক্ষর জ্ঞান জানেন মাত্র! বাকিরাও আন্ডার মেট্রিক হিসেবে অভিযুক্ত হলেও তাদের লিখিত কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি তেমনি তারা যে অন্তত এসএসসি পাশ করেছেন তারও প্রমাণ দিতে পারেননি।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের আওতাধীন বিভিন্ন কমিটি গঠনে যখন শীর্ষ নেতাদের কজন ছাত্রত্ব ও লেখাপড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তখন রাসেল আহমেদ মিডিয়াতে বলেছিলেন, মহানগর ছাত্রদলের শীর্ষ ৫ নেতার এসএসসি পাশ অর্থাৎ মেট্রিক পাশের সার্টিফিকেট দেখতে চায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আমরা চাই তারা প্রমাণ দিক তারা এসএসসি পাশ করেছেন এবং অবিবাহিত। যদি তাদের মধ্যে কারো অন্তত এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চায় আপনারা ছাত্রদলের কোন পদে থাকতে পারবেন না।

এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাসেল আহমেদ লিখেছেন, নন এসএসসি যদি এসএসসি পাশ কিনা যাচাই করে তাহলে দলের অবস্থা এমনই হবে। মহানগর ছাত্রদলের সুপার ফাইভের ৫ নেতার এসএসসি পাশে সার্টিফিকেট প্রকাশ করা হোক। আর যারা তাদের ইন্ধন দিতেছেন তাদের বড় ভাইদের সবকিছু প্রকাশ করা হোক।

রাসেল আহমেদের এমন দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান অনি। তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, আমরা চাই এটা হোক। কারন আমাদের নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদল নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবে আমরা চাইনা। তাই এটা সবার কাছে পরিস্কার হওয়া উচিত।’

এছাড়াও তিনি আরও লিখেছেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের টপ ৫ এর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যেহেতু প্রশ্ন ওঠেছে অবশ্যই সেটা সবার কাছে পরিষ্কার হওয়া উচিত এবং একজন সহ-সভাপতি হিসেবে এটা জানা আমার অধিকার। যদি আন্ডার মেট্রিক কেউ থাকে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। আশা করচি মমিনুর রহমান বাবু, রাফিউদ্দীন রিয়াদ, পাপন ও আলামিন সাহেবেরটাও পেয়ে যাবো। এটা নিয়ে কেউ দয়া করে অন্য কিছু ভাববেন না। কারন আমি বিশ্বাস করি এবং করতে চাই যে আমাদের ভাইয়েরা সহযোদ্ধারা অবশ্যই সুশিক্ষিত।’

তবে ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠন নিয়ে গত ২১ মার্চ শনিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ঢাকা বিভাগীয় টিমের সঙ্গে এক বৈঠকে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদের সঙ্গে সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন রিয়াদের অপ্রীতিকর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাঝে। যদিও বিষয়টি মৌখিকভাবে আড়াল করার চেষ্টা করছেন ছাত্রদলের দায়িত্বশীল নেতারা।

তবে মহানগর ছাত্রদলের বেশকজন সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যখন ফেসবুকে পোস্ট করে মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন রিয়াদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাগফুর ইসলাম পাপনের বিরুদ্ধে বক্তব্য ছেড়েছেন তখন বিষয়টি আর আড়াল করা সম্ভন হয়নি। দুদিন যাবত ফেসবুকে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। বেশির ভাগ নেতাকর্মী সাহেদ আহমেদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বাকি দুই নেতার বিরুদ্ধে নানা ধরণের কটুক্তি করছেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের একটি অনলাইনে প্রকাশিত হয় সাহেদ আহমেদ ও সেক্রেটারি মমিনুর রহমান বাবুকে মোবাইল চোর, ইয়াবাখোর মাদকাসক্ত আখ্যায়িত করে লাঞ্চিত করেছেন রাফিউদ্দীন রিয়াদ। তিন থানায় অছাত্র অযোগ্যদের নিয়ে টাকার বিনিময়ে সাহেদ ও বাবু কমিটি গঠনের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলে সেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে লাঞ্চিত করেছেন রিয়াদ। নারায়ণগঞ্জে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা রিয়াদ ও পাপনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একের পর এক স্ট্যাটাজ দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে ওই ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রনি জানিয়েছেন কাউকে মারামারি কিংবা লাঞ্চিত করার মত ঘটনা সেখানে ঘটেনি। তিনি বলেছেন, সভায় কমিটি গঠন নিয়ে যা হয় আর কি। সামান্য উচ্চবাচ্চ্য বাকবিতন্ডা ছাড়া তেমন কিছু ঘটেনি।

তিনি জানান, মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটির খসড়া নিয়ে ঢাকা বিভাগীয় টিমের সঙ্গে মহানগর ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের সভা হয়। যেখানে কমিটির নেতাদের নিয়ে যাচাই বাছাই করা হয়। এতে মহানগর ছাত্রদলের কজন নেতা প্রশ্ন তুলেছেন। ফলে আবারো আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে মহানগর ছাত্রদলের সুুপার ফাইভ নিয়ে পরামর্শ করে কেন্দ্রে কমিটি জমা দিতে সভাপতি ও সেক্রেটারিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কমিটি গঠন করবেন সভাপতি ও সেক্রেটারি। তার আগে সুপার ফাইভের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন এটাই।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদ দাবি করেছেন মহানগর ছাত্রদলের কোন নেতার সঙ্গে তার কোন সমস্যা বা জামেলা হয়নি হবেওনা। সেক্রেটারি মমিনুর রহমান বাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন রিয়াদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলামিন প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাগফুর ইসলাম পাপনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের সকলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে পাপনের সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেছেন কারো সঙ্গে তার মারামারি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের রিয়াদ ও পাপনকে উদ্দেশ্য করে মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাকিল মিয়া লিখেছেন, বাহ, আজকে পার্টি অফিসে যান ভাইয়ের ব্যক্তিগত লোকদেরকে নিয়ে, গিয়ে বলেন- ভাই আমি নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, আমি সাংগঠনিক সম্পাদক, বলেন আমাদের সমস্যা নাই কিন্তু প্রশ্ন হলো আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন? যখন আমরা রাজপথে আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি? দেশনেত্রীর মুক্তি চেয়েছি। ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ছাত্রদলের প্রোগ্রামে উপস্থিত না থেকে ব্যক্তি ভাইকে খুশি করার জন্য ভাইয়ের যুবদলের প্রোগ্রাম মেনটেন করেছেন, রিয়াদ আপনে বিয়ে করেছেন, বাচ্চা আছে, এসএসসিও পাশ করেন নাই, আন্ডার মেট্রিক, বুড়া হইয়া ও নিজেকে ছাত্র নেতা দাবী করেন আবার পার্টি অফিসে যান ছাত্রদলের। ভাইয়ের ছেলেদের কাছ থেকে টাকা খেয়েছেন তাদেরকে কমিটিতে রাখবেন বলে। রিয়াদ আপনাকে সোজাসুজি বলে দিচ্ছি এসব করে লাভ হবে না, রিয়াদ আপনার লজ্জা থাকা উচিত মিথ্যা নিউজ করাচ্ছেন, আপনে সাহেদের সামনে দাঁড়িয়ে এইসব কথা বলছেন। আমি নিউজ দেইখা হাসতে হাসতে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এইটাও কি সিকি রিয়াদকে দিয়ে সম্ভব? সিকি রিয়াদ সাহস থাকলে সামনে আসেন দেখি কতো হেডাম আপনার!! নিউজে যেসব বিষয় উল্লেখ করেছেন বাস্তবের সাথে তার কোন মিল নাই, এইসব অপরাজনীতি বন্ধ করেন নয়তো এর ফল ভালো হবে না।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হামিদুর রহমান সমুন লিখেছেন, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিসটার আনডার মেট্রিক রাফিউদ্দিন রিয়াদ সাহেব ও সাংগঠনিক সম্পাদক পাপন সাহেব আপনাদের উদ্দেশ্য করে কিছু বলতে চাই আজ মহানগর ছাত্রদলের কমিটি হয়েছে প্রায় ১৮ মাস আপনারা একটু বলবেন এখন পর্যন্ত আপনারে কয়টা প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন? আপনাদের লজ্জা থাকা দরকার দলের দ্বায়িত্বশীল পদে থেকে পদ বিক্রি করে খান। ইউনিট কমিটি নিয়ে আঙ্গুল তোলার আগে একবার চিন্তা ভাবনা করে আঙ্গুল তুলবেন। নিজের পদ বিক্রি করে আর কত ধান্দা করে খাবেন? নিজেদের লোক নেই অন্যদের লোক ভাড়া করে কমিটি ব্যানিজ্য নেমেছেন তা সকলের জানা। আপনারা যে ওয়ানম্যান শো তাও সকলেরই জানা। অতএব মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যদের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে ভেবে চিন্তা করে কথা বলবেন। এই কমিটির ১৮ মাস হল এখন পর্যন্ত সংগঠনকে কি দিয়েছেন?

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুর রহমান সাগর লিখেছেন, প্রায় ২১ মাস নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠিত হয়েছে, এই দীর্ঘ মাস পথচলায় কে কি করেছেন, কতটুকু রাজপথে কাজ করেছেন, আমরা সব জানি। কারণ আমরা প্রত্যেকটি প্রোগ্রামে রাজপথে ছিলাম। কেন্দ্রীয় ঘোষিত ছাত্রদলের কর্মসূচিগুলোতেও আপনাদের উপস্থিতি ছিল না। কোন কর্মসূচিতে আপনাদের পাইনাই, সংগ্রামী সভাপতি শাহেদ আহমেদ ভাই ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু ভাইয়ের নেতৃত্বে মহানগর ছাত্রদল রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে, তারা আংশিক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রূপ দিয়েছে যেটা বিগত সময় অনেকে পারে নাই, নিঃসন্দেহে তারা সফল সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। আজকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সারা বাংলাদেশের ন্যায় মহানগরের ইউনিট কমিটিগুলো করার সময় আপনারা গর্ত থেকে বের হয়ে আসলেন, এই দীর্ঘ ২১/২২মাস তো ছাত্রদলের কোনো মিছিল মিটিংয়ে আপনাদের দেখলাম না, এখন কমিটির সময় আপনারা এসে পরিচয় দেন আমার এই পদ, আমার সেই পদ। তাহলে এতদিন কোথায় ছিলেন? রাজপথের বেলায় নাই, ভাইয়ের তোষামোদি করেন, সংগঠনের বেলায় নাই, কমিটির সময় ভাইয়ের লোক ঢুকানোর জন্য রেডি হয়ে আছেন, একটা কথা স্পষ্ট বলে দেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সংগ্রামী সভাপতি শাহেদ আহমেদ ভাই ও মমিনুর রহমান বাবু ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোন কিছু লেখার আগে হিসেব করে লিখবেন। আমরা যারা রাজপথে থেকে ছাত্রদল করি, জীবনের মায়া না করে ছাত্রদল করি, আমরা আপনাদের এই অপরাজনীতি মেনে নিব না কথাটা মাথায় রাখবেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান অনি লিখেছেন, ‘আগামীকালের ভেতর সাহেদ-বাবু নিয়ে করা মন্তব্যের সঠিক প্রমাণ যদি দিতে না পারেন, আল্লাহর কসম যে পরিস্থিতি তৈরি হবে সেটার জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকেন..’‘ও আরও একটা কথা সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহেব আপনার এসএসসি এর সার্টিফিকেট নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে আমরা আপনার সার্টিফিকেটটি দেখতে চাই..’

মহানগর ছাত্রদরের সহ-সাধারণ সম্পাদক নাদিম মাহমুদ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ফাইজলামির একটা সীমা থাকা দরকার। কমিটি হওয়ার ২১ মাস যাদের খবর ছিলনা, যারা ছাত্রদলের বড় বড় পদ নিয়ে ছাত্রদলের কোন প্রোগ্রামে উপস্থিত না থেকে অন্য সংগঠনের ভাইদের চাটুকারিতায় ব্যস্ত ছিল সারা বছর। ভাবতেও অবাক লাগে, যেই সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক রাজপথে থেকে, সংগঠনকে শক্তিশালী করা, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ঘোষিত প্রতিটি প্রোগ্রাম সফল করা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা সহ মহানগর ছাত্রদলকে একটি ভিন্ন রূপ দিয়েছেন, একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে তৈরি করেছেন তাদের ব্যাপারে তারা কিভাবে কথা বলে? সফল সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোন ধরণের লেখালেখি বা কোন কিছু হলে তা কোনোভাবেই আমরা মেনে নিবনা, প্রয়োজনে গণহারে পদত্যাগ করব যদি তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে কোন একশন না নেয়া হয়। স্পষ্ট কথা।