মামলায় কার্যক্রম স্থগিত: ক্লিনিক্যাল ডেথ মহানগর বিএনপি কমিটি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি রীতিমত ক্লিনিক্যাল ডেথ অর্থাৎ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়েছে যা জানাযা বাকি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার জের ধরে মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন গোলজার খান নামের এক বিএনপি নেতা। ওই মামলার পর মহানগর বিএনপির কমিটির সকল কার্যক্রমকে স্থগিত ঘোষণা করেন আদালত। কমিটির কার্যক্রম এগুতে না পেরে এখন নতুন করে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন এই কমিটির আভ্যন্তরে থাকা বেশকজন নেতা যারা কমিটির নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। মামলায় সকল সকল কার্যক্রম স্থগিত হয়ে মৃত্যুশয্যায় কমিটি তখন এই কমিটির জানাযা পড়ানোর চেষ্টা চলছে।

এদিকে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। নারায়ণগঞ্জে চাওর হয়েছে তাদের দুজনকেই দিয়েই পরবর্তী মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হতে পারে। ফলে আবারো বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় ঢুকেছেন এটিএম কামাল। এবার মহানগরীতে খোরশেদের রাজনীতি পাকাপোক্ত করতে আবুল কালামকে মাইনাসের চেষ্টা চলছে বলেও নেতাকর্মীদের মাঝে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের পর রাজপথের সবচেয়ে সক্রিয় যিনি সেই অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান কমিটি গঠন নিয়ে কোন ধরণের মন্তব্য করছেন না। তিনি মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে আসতে চান এমন কোন প্রত্যাশাও নেতাকর্মীদের কাছে ব্যক্ত করছেন না। মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের পর কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচি সহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে থাকা, নেতাকর্মীদের খোজ খবর রাখা, মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের আইনি সেবা দেয়া নিয়েই সাখাওয়াত সক্রিয় ছিলেন। তবে এটিএম কামাল ও খোরশেদ যখন আলোচনায় তখন মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের আভাস লেগেছে। যেখানে আবুল কালামকে মাইনাসের একটি জোড়ালো চেষ্টা চলছে সেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে।

এ ছাড়াও জানাগেছে, মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালামের একান্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত মহানগর বিএনপির শীর্ষ একজন নেতা যিনি মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি পদে আসতেও কেন্দ্রীয়ভাবে লবিং করছেন। এক সময় তৈমূর আলমের সঙ্গে তার বিরোধীতা থাকলেও বর্তমানে তৈমূর আলমের সঙ্গে বেশ দহরম মহরম সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ফলে আবুল কালামকে মাইনাস করতে সব দিকেই চেষ্টা চলছে বলেও মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে জানাগেছে, মহানগর বিএনপির এই কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার আগে পাল্টা একটি কমিটি কেন্দ্রে জমা দিয়েছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার অনুগামী নেতাকর্মীরা। যেখানে আনোয়ার হোসেন খানকে সভাপতি ও মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে সেক্রেটারি পদে রাখা হয়। এই কমিটির সকলেই ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার অনুগামী নেতাকর্মী। কিন্তু এই কমিটি অনুমোদন তো দুরের কথা এই কমিটি নিয়ে আবুল কালাম ও এটিএম কামালের সঙ্গে বসার কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেননি তৈমূর।