এটিএম কামাল ৫ লাখ টাকার ব্যক্তিও নন, চাঁদা দাবির প্রশ্নই ওঠেনা: রানা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও তার আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠেছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানার বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ তুলে এটিএম কামালের চাচাতো ভাই ইশতিয়াক জামান নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় রানার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাখাওয়াত ইসলাম রানা সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এটিএম কামাল নিজেই ৫ লাখ টাকার ব্যক্তি নন, আর তার কাছে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার প্রশ্নই ওঠেনা। ৫ হাজার টাকার ব্যক্তির কাছে কেউ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না।

ঘটনার বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের এই নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়ায় দুটি পরিবারের মাঝে জামেলা মেটাতে আমি গিয়েছিলাম একপক্ষে, এটিএম কামাল এসেছিলেন আরেক পক্ষে। এক্ষেত্রে আমরা বসেছিলাম, তখন দ্ইু পক্ষের মাঝে শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে। কথা কাটাকাটি হতেই পারে। যেহেতু তিনি এক পক্ষে, আমি আরেক পক্ষে। এটাকেই চাঁদা দাবি কিংবা গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। এমন একটি মিথ্যাচারের জন্য সাংবাদিকদের কাছেও বিচার চাইলাম।

সাখাওয়াত ইসলাম রানা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, এটিএম কামাল মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি, আমি হলাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি। এক্ষেত্রে যদি আমি তাকে হুমকি ধমকি দিয়েই থাকি এবং তিনি যদি আমাকে ভয় পেয়েই যায় তাহলে তিনি তার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ কিংবা অন্যান্য দলকে মোকাবেলা করবেন কিভাবে? তিনি কি তাহলে তার অযোগ্যতার প্রমান দিলেন কিনা?

অন্যদিকে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় এটিএম কামালের চাচা সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিলুর ছেলেদের সঙ্গে পাশের আরেকটি পরিবারের দেয়াল নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে এমন ঘটনা ঘটে।

মনিরুজ্জামান মিলু চেয়ারম্যানের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক জামান থানায় রানার বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগ তুলে লিখিত দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন শহরের মিশনপাড়ায় আমার বাসার বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের সময় গত ২৩ জানুয়ারি বিকেলে সাখাওয়াত ইসলাম রানা সহ ৪/৫জন আমাদের বাসার সামনে আসে। তখন তারা আমাদের কাজে বাধা দেয়। ওই সময়ে বড় ভাই শাহরিয়ারকে কাজ বন্ধ করতে বলে। কাজ করতে হলে রানাকে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। ১০ দিনের মধ্যে ৫ লাখ টাকা না দিলে আমাদের মেরে ফেলবে এবং আমাদের দুই ভাইকে গুলি করে মেরে ফেলবে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন- ৩ ফেব্রæয়ারি রাত ৯টার সময় সাখাওয়াত ইসলাম রানা সহ তার দলবল নিয়ে তাদের বাসার সামনে যায় এবং তখন গাড়ি পার্কিং হতে ইন্টারকমের মাধ্যমে তুষারের কাছে চাঁদা দাবি করে। পাশের বাসা থেকে এটিএম কামাল, এটিএম জামাল, ভাই ভাগিনাকে গালিগালাজ করে এবং মারতে তেড়ে আসে আমাকে ও আমার ভাইকে গুলি করে মারার হুমকি দেয় রানা।