তৈমূরের নেতৃত্বে ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আন্দোলন’

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার রায়, দেশব্যাপী বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের প্রতি হামলা ও মামলার প্রতিবাদে ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আন্দোলন’ এর উদ্যোগে ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও কালো পতাকা মিছিল সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের কো-চেয়ারম্যান আবেদ রাজা, সানাউল্ল্যাহ মিয়া, এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, আনিছুর রহমান খান, আইয়ুব আলী আশ্রাফী, শাহাজাদী পাপড়ি প্রমূখ আইনজীবি নেতৃবৃন্দ। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও জানানো হয়- বক্তাগণ দেশব্যাপী সরকারী পেটোয়া বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদে বক্তব্য রেখে সুপ্রীম কোর্ট দিবসের কর্মসূচিকে প্রত্যাখান করেন। সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, সরকারের এজেন্ডাই এখন বিচার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, তাদের অবশ্যই যে কোন উপায়ে পুনরায় ক্ষমতায় যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাস্তবায়ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।

তৈমূর আলম আরও বলেন, এমতাবস্থায় একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের কোন প্রকার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ড. কামাল হোসেনের গাড়ী বহর যখন আক্রান্ত হয় তখন নির্বাচন কমিশন তাদের উপর তদন্তের ভার অর্পন করে যাদের মদদে এ হামলা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সুপ্রীম কোর্ট দিবস অনুষ্ঠান যোগদান প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা প্রদান করেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন যে, যেহেতু সরকার ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সন্ত্রাস দমনে সুপ্রীম কোর্টের কার্যতঃ কোন ভূমিকা নাই সেহেতু সুপ্রীম কোর্ট দিবস উৎযাপন অনুষ্ঠান বর্জন করা হলো। সভা শেষে একটি কালো পতাকা মিছিল সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গন প্রদক্ষিণ করে।