সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪টি আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি এবং একই সঙ্গে বাকি ১টি আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর প্রার্থী চুড়ান্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। দৈবক্রমে কারো মনোনয়ন বাতিল না হলে এই চূড়ান্ত প্রার্থীতা পরিবর্তনের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের ৪টি আসনে বিএনপি তাদের প্রার্থীদের নাম প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করেন। গেল ২৩ ডিসেম্বর রাত থেকে চূড়ান্ত প্রার্থীদের হাতে তাদের মনোনয়নপত্র তুলে দেন।
নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির সাবেক তিনবারের এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে চূড়ান্ত মনোনিত করেছে বিএনপি। এখানে প্রাথমিকভাবে মনোনিত হয়েছিলেন শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়া আবুল কালামকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে বিএনপি। এদের বাহিরে যারা নিজেদের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে প্রচার করতেন সেগুলো ছিল ভোগাস, অপরিপক্ক রাজনীতির প্রতিচ্ছবি।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। এখানে বিএনপি তাদের দলীয় কোনো প্রার্থী দিবে না। যদিও এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। তিনি প্রাথমিকভাবেও মনোনিত হয়েছিলেন। যদিও এ আসনের বাকি ৭জন মনোনয়ন প্রত্যাশি একজোট হয়ে মান্নানের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন এবং কেন্দ্রে দরখাস্ত দাখিল করেছিলেন। কিন্তু মান্নানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও দলের প্রতি তার ত্যাগ থাকায় তাকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনিত করেছে বিএনপি। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন মান্নান। ২০১৪ সালে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। তিনি প্রাথমিকভাবেও মনোনিত হয়েছিলেন। যদিও তার মনোনয়ন দাবিতে বাকি মনোনয়ন প্রত্যাশিরা আন্দোলন করেছিলেন। এ আসনের সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও আজাদ ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া। প্রাথমিকভাবেও তিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাকে প্রাথমিকভাবে মনোনিত করা হয়েছিল।


