মান্নানপুত্র সজীব ও পিএস সেলিমকে দোষারোপ করলেন গিয়াস!

সান নারায়ণগঞ্জ

গত ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসেবে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নাম ঘোষণা করা হয়। ওইদিন বাদ আছর সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ডে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ও বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেন মান্নান। কর্মসূচি শেষেই নেতাকর্মীরা শুনতে পান মান্নানকে মনোনিত করা হয়েছে। এমন খবরে সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েন।

তবে মান্নানকে মনোনিত করার পুর্ব থেকেই সিদ্ধিরগঞ্জে নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজ ঘাটি তৈরি করে ফেলেছেন মান্নান। এর পেছনে মান্নানপুত্র জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব ও পিএস সেলিম হোসেন দিপুকে দোষারোপ করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন।

১০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ব্যানারে একটি দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের পূর্বে বক্তব্যে গিয়াসউদ্দীন বলেছেন, মান্নান সাহেব প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছেন, আমরা খুশি। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের যেসব নেতাকর্মী আমাদের বিরুদ্ধাচারণ করেন, সেইসব নেতাকর্মীদের তার পিএস ও লোক দিয়ে খুঁজে বের করলেন। উনার উচিত ছিলো আমরা যারা মনোনয়ন প্রত্যাশি আমাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। কিন্তু সেটা না করে, করলেন উল্টোটা। আমাদের বিরুদ্ধাচারণ করা সেইসব নেতাকর্মীদের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে উনার বাড়িতে নিয়ে গেলেন এবং আমাদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেয়ার আয়োজন করে দিলেন, যেখানে আমাদের বিরুদ্ধে এমন ভাষায় বক্তৃতা করছে, তা নিয়ে আনন্দ উল্লাস করছেন তার ছেলে ও পিএস সহ তার পরিষদবর্গ।

গিয়াস বলেন, আমরা তার পরিবর্তন চাইলাম। আমরা সকল মনোনয়নপ্রত্যাশিরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলের হাই কমান্ডকে চিঠি দিলাম। তারপর উনার ছেলে রাজপথে নেমে বললেন, অধ্যাপক শয়তানেরা হুশিয়ার সাবধান।

মান্নানের এলাকায় সভায় নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে গিয়াস বলেন, আরেকজন বললেন সাত ভাই চম্পা, আরেকজন বললেন জ্বালারে জ্বালা, সাতজনের অন্তরে জ্বালা।

তবে গিয়াসউদ্দীনের এই বক্তব্যের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, আজহারুল ইসলাম মান্নান মনোনয়ন পাওয়ার পর সবার আগে গিয়াসউদ্দীনের বাসায় গিয়েছেন, সেখানে তিনি দেখা করলেন না, পরে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন সেখানেও তিনি সাক্ষাত করেননি। সেদিন মান্নান বলেছিলেন, গিয়াসউদ্দীন আমার বড় ভাই, আমি আজ এসেছি, আবার আসবো, বারবার আসবো।

এর কয়েকদিন পর আবারো গিয়াসের বাসায় যান মান্নান। ওইদিন মান্নান গিয়াসের পা ছুয়ে সালাম করতে গেলে গিয়াসউদ্দীন বুকে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরেন। একে অপরকে খেজুর খাইয়ে দিয়ে মিষ্টিমুখ করান। মান্নান গিয়াসের কাছে সব ধরণের সহযোগীতা চান এবং বলেন দুই ভাই মিলে এই আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে উপহার দিব। দুই ভাই মিলে এই আসনটির উন্নয়ন কাজ করবো। কিন্তু গিয়াস তারপরেও মান্নানের আহ্বানে সাড়া দেননি।