সান নারায়ণগঞ্জ
গত ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ওই প্রার্থী ঘোষণার পর ২১ নভেম্বর বিএনপির মনোনিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সোনারগাঁয়ে মশাল মিছিল করেন আশরাফুল ইসলাম আশরাফ প্রধান। এই ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ সহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করে দেয় কেন্দ্রীয় যুবদল।
কিন্তু তার পরেও থেমে নেই দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে আশরাফ প্রধানের অপকর্ম। ২৫ নভেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মান্নানের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে মশাল মিছিল করেছেন আশরাফ প্রধান।
এর একদিন পর সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম। এতে সভাপতিত্ব করেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওয়ালিউর রহমান আপেল।
তারাও এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন। ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহামুদও বিএনপির প্রার্থী মান্নানের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে দরখাস্ত দাখিল করেছেন। ৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশি বৈঠক করে মান্নানের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে নামেন। তারপর থেকে কদিন পর পর প্রার্থী বাতিল চেয়ে মশাল মিছিল চলছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে আয়োজিত ওই দোয়া মাহফিলের মঞ্চে একদিন পূর্বে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে মশাল মিছিলকারী বহিষ্কৃত আশরাফ প্রধানকে তোলা হয়। ওই মঞ্চে মনোনয়ন বঞ্চিত উপস্থিত ৬ জনের সঙ্গে হাত মিলাতে এবং কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়। প্রত্যেকেই আশরাফ প্রধানের সঙ্গে হাস্যোজ্জলভাবে কথা বলেন। এরি মাঝে গিয়াসের সঙ্গে হাত মিলানের সময় গিয়াস উদ্দীন আশরাফ প্রধানের উদ্দেশ্যে বলেন, আশরাফ তুমি চালিয়ে যাও।


