ডেস্ক রিপোর্ট
ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটে পরিনত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ। তাকে টার্গেট করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অপপ্রচার হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা। মুলত রাজনৈতিকভাবে তাকে ঘায়েল করতে না পেরে স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অপচেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
নিজের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। একটি অসাধু মহল ভুল তথ্য ছড়িয়ে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।
২২ অক্টোবর বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাহেদ। তিনি বলেন,
গত সোমবার (২০ অক্টোবর) খানপুর এলাকায় ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। অথচ ঘটনার সময় আমি ওই এলাকায় উপস্থিত ছিলাম না। পরে জানতে পারি, হানিফ নামে এক নাইট গার্ডকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সাহেদ আহমেদ বলেন, নিহতের পরিবার কিংবা সেই শিশুর পরিবার, যাকে ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে হানিফকে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানা যায় তারা কেউই আমার নাম উল্লেখ করে কোনো অভিযোগ বা বক্তব্য দেয়নি। তবুও কিছু অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার অপচেষ্টা।
তিনি দাবি করেন, আমি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। যারা আমার নাম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা করছি। একই সঙ্গে আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
অপপ্রচারের অংশ হিসেবে যে জোড়া ট্যাংকি মাঠ এর নাম উল্লেখ করা হচ্ছে, সেটি নিয়েও ব্যাখ্যা দেন সাহেদ। তিনি বলেন, জোড়া ট্যাংকি মাঠ এলাকায় এখন বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও খেলার মাঠ গড়ে উঠেছে। অথচ সেই জায়গাটিকে কেন্দ্র করে আমার নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অসত্য।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন রাতেই সদর থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। তাই আমি মনে করি, প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক—কিন্তু নির্দোষ কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সাহেদ আহমেদ বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অনুরোধ করছি—আপনারা যাচাই-বাছাই করে সংবাদ প্রকাশ করুন। যাচাই ছাড়া প্রচারিত বিভ্রান্তিকর তথ্য সাধারণ মানুষের মনে ভুল ধারণা তৈরি করে এবং একজন রাজনৈতিক কর্মীর সুনাম ক্ষুন্ন করে।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে তিনি বলেন, আমি এই মিথ্যা অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সত্যের জয় হবেই এই বিশ্বাস নিয়েই আমি রাজনীতিতে এগিয়ে যেতে চাই।