সান নারায়ণগঞ্জ
দুইদিন যাবত বিএনপির চেয়ারপাসরনের গুলশান কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বৈঠকে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কথা শুনেন এবং সকলকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে কাজ করার নির্দেশ দেন।
কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, লিখিত আকারে চূড়ান্ত একক প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে। তবে তার আগে সকলকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন নেতারা। বৈঠকে কাউকেই নিরাশ করেননি কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে কবে নাগাদ চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে সেটা নিশ্চিত করেননি কেন্দ্রীয় নেতারা।
জানাগেছে, ১৯ অক্টোবর রবিবার ও ২০ অক্টোবর সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দীন আহমেদ সহ কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা।
এসব বৈঠকে কোনো প্রার্থীর নাম এককভাবে ঘোষণা করা হয়নি। মনোনয়ন প্রত্যাশি নেতাদের দলের অবদান ও ভুমিকা সহ ত্যাগ জেল জুলুমের ফিরিস্তিও শুনেছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা কঠোরভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সাফ জানিয়েছেন, মনোনয়ন যাকেই দেয়া হোক তার পক্ষেই সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে কাজ করতে হবে। এর বাহিরে গেলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
অন্যদিকে ওইসব বৈঠক শেষে বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়ণগঞ্জের ৩টি আসনের বিষয়ে তিনজন প্রার্থীকে চূড়ান্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেগুলো হলো নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ ও নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আজহারুল ইসলাম মান্নানের নাম প্রায় চূড়ান্ত। একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে প্রার্থীতা চূড়ান্ত করা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা আভাস দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ ও ৪ এর মধ্যে যে কোনো একটি আসন জোটের শরীক দলের দিকে চলে যেতে পারে।