সান নারায়ণগঞ্জ
বাংলাদেশের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে সারাদেশেই বিরাজ করেছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। হাজারো পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। আলোকসজ্জা, ঢাকের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি আর উচ্ছ্বাসে ভরপুর ছিল পূজার প্রতিটি আয়োজন। এই আনন্দঘন পরিবেশকে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি)।
উৎসব শুরু হওয়ার আগেই আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং পূজা চলাকালীন সময়জুড়ে তারা ছিলেন দায়িত্বশীল ও সতর্ক। মণ্ডপের ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত নিরাপত্তা, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ভিআইপি ব্যক্তিবর্গের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করাই ছিল তাদের প্রধান দায়িত্ব। তাদের তৎপরতা ও কার্যকরী পদক্ষেপে দুর্গাপূজার মতো বিশাল ধর্মীয় উৎসবটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বিশেষ করে ভিআইপিদের আগমনকে কেন্দ্র করে যে প্রটোকল ব্যবস্থা করা হয়, সেটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা। মণ্ডপে আগত রাষ্ট্রীয় অতিথি, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে নিরাপদে মঞ্চে পৌঁছে দেওয়া, জনস্রোত নিয়ন্ত্রণ এবং সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এর ফলে পূজার পরিবেশ ছিলো সবার জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ। আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের এ সাফল্য শুধু নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ আচরণ, সময়ানুবর্তিতা ও আন্তরিকতা উপস্থিত সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। সাধারণ মানুষ, পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা এবং দর্শনার্থীরা এক কণ্ঠে জানিয়েছেন— আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা না থাকলে এত বড় আয়োজন নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হতো না। একইসাথে তারা আরও জানান, দুর্গাপূজার সময়ে আনসার বাহিনীর এই দায়িত্বশীল ভূমিকা শুধু ধর্মীয় সম্প্রীতিই নয়, বরং জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ সব স¤প্রদায়ের মানুষ একসাথে মিলেমিশে উৎসব উপভোগ করেছেন নিরাপদ পরিবেশে। এই সাফল্যের জন্য জনগণ ও আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের যেকোনো সামাজিক বা ধর্মীয় উৎসবে একইভাবে এই বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্বে দেখতে চান। দেশজুড়ে আলোচিত এই প্রশংসনীয় ভূমিকা প্রমাণ করেছে আনসার ও ভিডিপি কেবল একটি নিরাপত্তা বাহিনী নয়, বরং জনগণের আস্থা, সুরক্ষা ও শৃঙ্খলার প্রতীক। উৎসবমুখর পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠা জাতীয় জীবনে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।।